বাংলাদেশের পাখি : সুইচোরা
বাংলাদেশের পাখি : সুইচোরা |
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কিলােমিটার দূরে 'সাত গাও টি-এস্টেট' । ওখানকার একটা চা-বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে এক ন্যাড়া টিলা। টিলাটার পাদদেশে ল্যান্টানা ঝোপের জঙ্গল। এগুলাের পাশে, টিলাটার খাড়া মাটির দেয়ালে ছােট একটা গর্ত। আর তা থেকে মুখ বের করে দিয়ে কাছাকাছি বসে আছে তিনটি পাখির ছানা, গলায় খিদের মিষ্টি কান্না। সকালের রােদ উঠেছে কেবল। বসন্তের চমৎকার হাওয়া বইছে শৈঙ-ট্র'র ডালপালায়।
ল্যান্টানা ঝােপ থেকে বেরুল একজোড়া বেজি। পাখির ছানার ডাক শুনেই তিন লাফে সামনে চলে এল। তাকাল ওপর দিকে। সঙ্গে সঙ্গে ওরা হাঁচড়ে-পাঁচড়ে উপরের দিকে উঠতে লাগল। ওঠা কি অতই সহজ! খাড়া দেয়াল। ছানা তিনটি বসেও আছে প্রায় ছ'হাত ওপরে। তবুও অনেক কসরৎ করে বেজি দুটি যেই না উঠে পড়েছে গর্তের কাছাকাছি, অমনি ছানারা ভেতরে ফুড়ুৎ। বেক্তিরা কিন্তু হতাশ হল না তাতে। দুজনেই পেছনের দু'পা ও সামনের বাঁ পা দিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে ডান থাবা দিয়ে গর্তের মুখটা বড় করতে শুরু করল। ওরা মাটি খুঁড়ছে, ঝুরঝুর করে লাল মাটি ঝরছে। এ সময়ে খাবার মুখে ফিরে এল ছানাদের বাবা-মা। বেজিদের কাণ্ড দেখে ওরা গেল ক্ষেপে । মুখে ধরা পােকামাকড় ওরা নিজেরাই গিলে নিল, তারপর উড়ে উড়ে, ঘুরে ঘুরে বেজিদের বকাঝকা দিতে লাগল। বেজি দু'টির কোনাে ভাবান্তর হল না। পুঁচকে ওই পাখি দু’টি কিছুই করতে পারবে না তাদের। ওরা সমানে থাবা চালিয়ে যাচ্ছে। খুঁড়তে খুঁড়তে যদি পাওয়া যায় গর্তের শেষ সীমানা তাহলে সকালবেলার নাস্তাটা হবে খাসা। পাখির ছানার তুলতুলে মাংস খেতে যা মজ্জা!
এদিকে পাখি দুটির চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে এল একজোড়া ভাতশালিক। চেঁচাতে চেঁচাতে উড়ল কয়েক সেকেন্ড। তারপরে সা করে উড়ে গেল বেজি দু'টির মাথা খুঁয়ে। তাতে বেজি দু'টি একটু ভড়কাল বটে। কাজ থামাল না। একটি বেজি দাঁত-মুখ খিচিয়ে এমন ভঙ্গি করল যে শালিক দু’টিকে যেন বলল, সাহস থাকে তাে আয় আরেক বার! ভয় পেল না শালিক দু'টি। আবারাে ধেয়ে এল। দু'টি বেজিই এবার দাঁত-মুখ খিচিয়ে মাথা ঘুরাল। বাসার মালিকরা কিন্তু উড়ে উড়ে শুধু ঘুরছেই, গলার স্বরে কান্নার আভাস, ভাতশালিক দুটিকে দেখে কিছুটা সাহস খুঁজে পেয়েছে।
সাঁওতাল এক বালক যাচ্ছিল তীর-ধনুক হাতে । পাখিদের চেঁচামেচি শুনে দাঁড়াল। দেখতে পেল বেজি দু’টিকে। অমনি সে ধনুকে তীর জুড়ে এগােতে লাগল পা টিপে টিপে। বেজি শিকার করতে পারলে দুপুরের খাওয়াটা হবে খাসা। বেজি সাঁওতালদের প্রিয় খাবার। নিখুঁত নিশানায় তীর ছুড়ে ওরা শিকারকে কাবু করতে পারদর্শী।
কাছাকাছি এসে যখন সে তীর উঁচু করল, তখনই বেজি দু'টি দেখতে পেল তাকে। সঙ্গে সঙ্গে পড়িমরি লাফে দু’হাত নিচে পড়েই ঢুকে পড়ল। ল্যান্টানা ঝােপে। তারপর ঝােপের তলা দিয়ে পালিয়ে গেল দূরে। হতাশ সাওতাল বালক পাখির বাসাটা দেখল। ওই বাসায় বাচ্চা আছে, তাও সে বুঝল। তবুও সে এগিয়ে চলল অন্যদিকে, শিকারের সন্ধানে। সব ধরনের পাখিই সাঁওতালদের প্রিয় খাদ্য। তাহলে কেন সে বাসার দিকে গেল না? এই প্রশ্নের পাশাপাশি আরাে একটা প্রশ্ন করা যায়, তা হল—বেজি দু’টি যদি নিশ্চিন্তে গর্ত খোড়ার কাজটা চালিয়ে যেতে পারত, তাহলে কী নাগাল পেত ছানাগুলাের?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, ওই খাড়া পাড় বেয়ে ওঠা দুঃসাধ্য, তার চেয়েও গর্তের মুখটা এতটুকু যে তার ভেতরে সাঁওতাল বালকের হাত ঢুকত না। ঢুকলেও গভীরতার কারণে সে ছানাগুলাের নাগাল হয়তাে পেত না। কেননা, ওই পাখিরা গর্ত খুঁড়ে ভেতরে এগিয়ে যায় কমপক্ষে ১২ ইঞ্চি, কখনাে ২১ ইঞ্চি। সুড়ঙ্গটাও সরল রেখায় থাকে না। সাপ ছাড়া ওই সুড়ঙ্গে ঢুকে ডিম-বাচ্চা অন্য কেউ খেতে পারে না।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, সারাদিন চেষ্টা করলেও বেজি দুটি সফল হত না। কারণ ওই গভীরতা। এই যে পুঁচকে দু'টি পাখি, ওরা হল সুইচোরা পাখি । তাই বলে এই দুটি পাখির লেজের আগায় সুই (আসলে সরু পালক) ছিল না। আমাদের দেশে সচরাচর যে ৪ রকমের সুইচোরা দেখা যায়, তার মধ্যে দুরকমের লেজের আগায় সুইয়ের মতাে পালক আছে, অন্য দু'টির নেই। সুইয়ের মতাে দেখতে ওই পালকের সৌন্দর্য তুলনাহীন। এই জন্যই বােধহয় নাম হয়েছে সুইচোরা পাখি। জানি না, কারাে সুই চুরি করে ওরা লেজে লাগিয়ে নিয়েছিল কিনা! গ্রামগঞ্জের অনেকেরই বিশ্বাস, ওই সুই (পালক) দিয়ে ওরা মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাসা করে । কথাটা ঠিক না। ওই সুই ওদের ওড়ার ভারসাম্য রক্ষা করে। গর্তের গভীরতা মাপতে পারে ওরা ওই সরু পালক দিয়ে। আবার গর্ত হয়তাে খুঁড়ছে, মাথা ভেতরে। বেজি বা সাপে ধরল ওই সুই। তখন ওই সুই খসিয়ে দিয়ে পালাবার একটা চান্স অন্তত নেয় ওরা। পাশাপাশি উড়ে গিয়ে পােকা ধরার সময় হয়তাে কোনাে পােকা ফসকে যাচ্ছে লেজের তলা দিয়ে, তখন ওই সুই দিয়ে আটকায় পােকাকে। সুই কিন্তু দুটো—যদিও মিশে থাকার কারণে মনে হয় একটা।
সুইচোরারা বেশ চালাক পাখি। দেখতেও খুব সুন্দর। সবার চোখেই যেন কাজল টানা। বেশ লম্বা-বাঁকা ঠোট। উজ্জ্বল চোখ। যখন ওড়ে পােকা ধরতে খুব সুন্দর লাগে তখন। ডানা ঝাপটিয়ে, বিমানের মতাে বাতাসে ভাসতে পারে ওরা। যে কোনাে অ্যাঙ্গেলে ঝট করে উড়ে যেতে পারে। পোকামাকড়, কীটপতঙ্গের জন্য ওরা ওঁৎ পেতে থাকে ছােট ছােট গাছে, ঝােপ-ঝাড়ের মাথায়। কণ্ঠস্বর মিষ্টি। টিউ টিউ টিউ, ছিট ছিট ছিট' ধরনের ডাক। দলে থাকতে পছন্দ করে, মাটিতেও বসে।
সুইচোরাদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, লম্বাটে ডানা, খাটো পা, লম্বা লেজ, লম্বা ঠোট ও চোখে কাজল। পুরুষ ও মেয়ে পাখি দেখতে একই রকম। যদিও ওরা পতঙ্গভূখ, তবে মৌমাছিও খায়—যা মােট খাদ্যের ১৫ ভাগ। ওদের ইংরেজি নাম Bee eater অর্থাৎ মৌমাছিভুখ। অবশ্য মৌমাছি খেতে ওরা খুব পছন্দ করে। শুধু মৌমাছি নয়, যে কোনাে পােকাই ওরা উড়ে গিয়ে। ধরুক না কেন, শব্দ হবে ‘চট' করে। সুইচোরা পৃথিবীতে আছে ২৪ রকমের। সবচেয়ে ছােটটির মাপ ৬ ইঞ্চি, বড়টি ১৪ ইঞ্চি। সবারই আচারআচরণ, ওড়ার ধরন, বাসার গড়ন ও খাদ্য তালিকা একই রকম। সবারই শরীরে সবুজ রঙের আধিক্য। বাসা করে পাহাড়-টিলা, নদী-নালার পাড়ের মাটিতে গর্ত খুঁড়ে। আমাদের দেশে বাসা বাঁধার মৌসুম হচ্ছে বর্ষা ও হেমন্ত বাদে অন্য সব ঋতু। বছরে দু'বার বাস করে। বাসার জায়গা নির্বাচন করে ওরা খুব হিসাব-নিকাশ কষে। জায়গা নির্বাচনে লাগায় ২-৬ দিন। দু'জনে মিলে গর্ত খোড়ে ঠোট ও পা দিয়ে। গর্তের মুখ ছােট রাখে, ভেতরে ক্রমশ তা বাড়ে। যেখানে ডিম পাড়ে, সেখানটা বেশ গোলাকার করে নেয়। গর্ত খোঁড়া শেষ হয় ৪-৭ দিনে। ডিম পাড়ে ৬টা। কমবেশিও হয়। তবে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে ডিম ওই ৬টাই। ডিমে তা দেয় দুজনে পালা করে। প্রজাতিভেদে ডিম ফোটে ২১-২৭ দিনে। এ সময়ে বৃষ্টি বা বন্যা হলেও ওদের গর্ত ডােবে না, জল জমে না। মাটি যাচাই ও সবদিক বিবেচনা করে যেভাবে গর্ত খোড়ে, তাতে অবাক না হয়ে পারা যায় না। সারাদিন হয়তাে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হল, খাবার খেতে পারল না, অথচ রাতে হয়তাে ফুটফুটে জোছনা, সে রকম রাতে আমি ওদের খাবার খুঁজতে, উড়তে দেখেছি। ওদের ভুতুম ও বনবিড়ালের কবলে পড়তেও দেখেছি।
সুইচোরারা নিরীহ পাখি। প্রকৃতির সৌন্দর্য ওরা। নানা রকম ক্ষতিকর পােকামাকড় খেয়ে পরিবেশের উপকার করে। ফসলের বন্ধু ওরা--মানুষের বন্ধু। বাংলাদেশে খুব ভালাে অবস্থায় আছে, সব জায়গাই আছে। ওদের মূল খাদ্য পােকামাকড়। জল খায় ছোঁ মেরে। খেজুরের রস পছন্দ করে। ঝুঁকি বেঁধে উড়ে উড়ে ডেকে ডেকে খেলতে ভালােবাসে। উৎসাহী শিশু-কিশােরেরা ঢাকা শহর থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সব জায়গাতেই ওদের দেখতে পাবে, দেখতে পাবে ডিম-বাচ্চা-বাসাসহ ওদের আচার-আচরণ ও উড়ে বা ডাইভ দিয়ে পোকা ধরার চোখজুড়ানাে কৌশল। শুনতে পাবে ওদের মিষ্টি গান। অবশ্য ওরা গায়কপাখির দলভুক্ত নয়।
১, পিঙ্গল-মাথা সুইচোরা (Chestnutheaded Bee-easter, Merops leselternauti) ২, নীললেজা সুইচোরা (Bluetarited Bee-eater, Merops Philippinus) : এরাও লম্বায় প্রায় ২২ সেন্টিমিটার। ৩, সবুজ সুইচোরা (Green Bee-eater, Merops orientalis) : এরা লম্বায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার। ৪, পাহাড়ি বড় সুইচোরা (Blue Bearheaded Bee-eater, Wetyorris atlaertoni) : সুই নেই। এদের মাপ ৩৫ সেন্টিমিটার।
এবার আমাদের দেশের ৪ রকমের সুইচোরার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
১. পিঙ্গল-মাথা সুইচোরা (Chestnutheaded Bee-eater, Merops teschenarali) : এদের কপাল হয়ে মাথা-ঘাড় গাঢ়-পিঙ্গল। পিঠও পিঙ্গল। টকটকে হলুদ গলা। গলায় একটা চওড়া বলয় আছে—রঙ কালচে-পিঙ্গল। চোখের মণি লাল। পেট হলুদাভ-সবুজ। ঠোটের গোড়া থেকে চোখের পাশ ঘেষে কালাে একটা টান। লেজের উপরিভাগ সাগর-নীল। সুইয়ের রঙও তাই। ডানার প্রান্ত সবুজ। সমস্ত শরীরে যেন মিশে আছে সবুজের একটা আভা। বেশি দেখা যায় পাহাড়-টিলাময় এলাকায় ও বড় বড় বনের আশেপাশে। ডিম পাড়ে ৪-৬ টা। রঙ সাদা।
২. নীললেজ সুইচোরা (Bluetarited Bee-eater, Merops Philippinas) : এরা লম্বায় প্রায় ২২ সেন্টিমিটার। পিঠের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে লেজের উপরিভাগ নীলচে। সুইয়ের রঙ কালচে-নীল। চোখের পাশে চওড়া কালাে দাগ। মাথ-বুক-গলা-ঘাড় পিঙ্গল। এদের লেজ বেশ চওড়া, মেলে দিলে অনেকটা মাছের লেজের মতাে দেখায়। ওই লেজে সঁাটা সুই দুটো দেখতে আরাে চমৎকার। বুক ও পেটের রঙ হালকা পিঙ্গল, তাতে লালচে-হলুদের আভা। এরা ডিম পাড়ে ৬টা, ৭টাও দেখা যায়। ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে জায়গা বদল করে খাবার সুবিধার জন্য।
২. নীললেজ সুইচোরা (Bluetarited Bee-eater, Merops Philippinas) : এরা লম্বায় প্রায় ২২ সেন্টিমিটার। পিঠের শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে লেজের উপরিভাগ নীলচে। সুইয়ের রঙ কালচে-নীল। চোখের পাশে চওড়া কালাে দাগ। মাথ-বুক-গলা-ঘাড় পিঙ্গল। এদের লেজ বেশ চওড়া, মেলে দিলে অনেকটা মাছের লেজের মতাে দেখায়। ওই লেজে সঁাটা সুই দুটো দেখতে আরাে চমৎকার। বুক ও পেটের রঙ হালকা পিঙ্গল, তাতে লালচে-হলুদের আভা। এরা ডিম পাড়ে ৬টা, ৭টাও দেখা যায়। ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে জায়গা বদল করে খাবার সুবিধার জন্য।
৩, সবুজ সুইচোরা (Green Bee-eater, Merops orientalis)। এরা লম্বায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার। সব মিলিয়ে সুন্দর সবুজ একটা পাখি। সবুজ গলায় কালাে একটা অর্ধবলয় আছে। ঠোটের গোড়া থেকে চোখের পাশ ঘেঁষে চওড়া কালাে টান। মনে হয় কাজলের পেঁচ। সুইয়ের রঙ কালচে। মাথা- ঘাড়ের রঙ লালচে-বাদামি। এদের কণ্ঠস্বর সবচেয়ে (বাংলাদেশে) মিষ্টি। গলা বাজাতে পারে ভালাে। ট্রি টি ট্রি টি টি' শব্দে যখন দলবেঁধে ওড়ে আর ডাকে, তখন মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। ডিম দেয় প্রায়ই ৭টা।
৪. পাহাড়ি বড় সুইচোরা (Blue Bearheaded Becreater, Nyctronics athertoni) : সুই নেই। এদের মাপ ৩৫ সেন্টিমিটার। পার্বত্য জেলাগুলাের গভীর পাহাড়ি জঙ্গলের মাঝের ফাকা জায়গায় কৃচিৎ দেখা যায়। পৃথিবীর বৃহত্তম এই সুইচোরাদের দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এরাও সব মিলে সবুজ পাখি। গলা থেকে বুকের উপরিভাগের কিছুটা সাগর-নীল। লেজের আগা সমান, উপরিভাগ হালকা সবুজ, নিচটা হলদেটে, তাতে কালচে ভাব । পেটে আছে হলুদাভ রঙ, তার ওপরে খাড়া খাড়া সবুজ টান। লাজুক স্বভাবের পাখি। কণ্ঠস্বর চড়া। ব্যাঙ ও ছােট সাপ পর্যন্ত খায়। খুব সাহসী, শুধু মানুষকে এড়িয়ে চলতে চায়। বাসা করে পাহাড়ের গায়ে। পাহাড়ি ঝিরি থেকে জল পান করে। এদের বাসায় প্রায়ই সাপ ঢুকে ডিম-বাচ্চা খেয়ে ফেলে। ওরা তখন সাপের লেজ ও কোমরে আচ্ছামতন ঠোকরায় ও আঁচড়ায় ।