বাংলাদেশের পাখি : শালিক
বাংলাদেশের পাখি : শালিক |
খােলা মাঠ, মাঠের ভেতরে মস্তবড় একটা ঝিল। ঝিলের কিনারা জুড়ে সারি সারি তালগাছ। একটি মরা তালগাছের ফোকরে ভাত-শালিকের বাসা। বাসায় তিনটি বাচ্চা। ক’দিন বাদেই ওরা উড়তে শিখবে। ঝাঝ দুপুর তখন। মাথার ওপরে মস্ত খােলা আকাশ যেন আগুন ঢালছে। তবু শালিক বাবা-মার বিশ্রাম নেই। দু’জনেই পােকা-ফড়িং মুখে বাসায় আসছে, বাসার মুখের কাছে ঝুলে বসতেই বাচ্চারা মুখ বের করে দিয়ে আমি খাব’ আমি খাব’ বলে আবদার জুড়ে দিচ্ছে। বাবা-মা জানে, কাকে এবার দিতে হবে, তার মুখে খাবার পুরে দিয়েই আবার উড়ে যাচ্ছে খাবারের সন্ধানে। বাচ্চারা আবার মুখ টেনে নিচ্ছে বাসার ভেতরে।
বাবা-মা তখন অনেক দূরে চলে গেছে খাবার সন্ধানে। একটি দাড় কাক চুপিসারে এসে ঝুলে বসল বাসার মুখের নিচে, ঠিক যেভাবে ঝুলে বসে শালিক বাবা-মা। তারপর ঠোটটি একটু বাড়িয়ে ধরে গলায় চাপা শব্দ তুলতে লাগল। সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারা মুখ বের করে দিয়ে আমি খাব’ ‘আমি খাব’ আবদার জুড়ে দিল। শালিকের বাচ্চার মাথা চেপে ধরল ঠোটের ফাঁকে, উড়াল দিল। শুরু হল শালিকের বাচ্চার ডানা ঝটপটানি। শিকার মুখে কাক চলেছে ঝিল পাড়ি দিয়ে। ঝিলের জলে কাকের ছায়া।
ওই ঝিল পেরােনাের আগেই শালিক বাবা-মা ধেয়ে এল জঙ্গি বিমানের। মতন, দু' জনেই চেঁচাচ্ছে দারুণ, গালাগাল করছে দাড়কাককে। আচমকা আক্রমণে কাক গেল ভড়কে, আত্মরক্ষার জন্য সে সাই করে নেমে পড়ল অনেকটা নিচে, পালাতে চাইল অন্য দিকে। বাচ্চার মা বলে কথা! শালিক বাবা-মাও ‘ধর-ধর, মারমার’ বলে ঘিরে ধরল কাককে, আক্রমণ চালাল। অসম্ভব দ্রুততায়। লেজ আর পিঠে শালিকের ঠোকর পড়তেই কাক ডেকে উঠল-কোয়াক’, যেন-বা বলল, ‘মাফ চাই।
ওই মাফ চাইতে গিয়ে ঠোট ফাক করতেই হােক, কিংবা ভয়েই হােক, শালিকের বাচ্চা খসে পড়ল কাকের মুখ থেকে। আনাড়ি বাচ্চা পড়তে পড়তেই ডানা মেলে ওড়ার চেষ্টা করল। তার পর ঝিলের পাড়ের শক্ত মাটিতে–ধপাস। শালিক বাবা-মার কিন্তু বাচ্চার দিকে খেয়াল নেই তখনাে, তারা ওই কাককে ধাওয়া করে নিয়ে চলল ঝড়ের গতিতে। বকাঝকা তাে বেড়েই চলেছে। একনাগাড়ে। আক্রমণে কাককে পর্যুদস্ত করছে বার বার।
এক বেজি তার দু’ বাচ্চাকে নিয়ে ঝিল পাড় ধরে হেঁটে আসছিল ও-সময়। শালিকছানাকে দেখেই সে লেজ ফুলিয়ে ছুটল। পেছনে পেছনে বাচ্চারা। মুখে। ধরতেই চিৎকার জুড়ে দিল সে। বাচ্চার চিৎকার শুনেই হােক, কিংবা কাককে ‘মাফ করে দেওয়ার জন্যই হােক, শালিক বাবা-মা দেখতে পেল বিপদগ্রস্ত বাচ্চাকে। আবারও জঙ্গি বিমানের মতাে ধেয়ে এল দু' জনে, প্রচণ্ড গতিতে
আক্রমণ করল বেজিকে ভয়ে বেজি লেজ তুলে ভেঁ-দৌড়। বাচ্চা দু’টি পালাতে গিয়ে বার বার চিৎপটাং। একটি ঝােপের তলায় ঢুকে তবেই না রক্ষে।
শালিক দুটি ওই ঝােপের ওপরে উড়ল কিছুক্ষণ। বাচ্চাকে উদ্ধার করার কোনাে কৌশলই তারা আবিষ্কার করতে পারল না। তারপর ব্যর্থ হয়ে বসল তালগাছের বাসার মুখে। বাসার দু জনে ভাল আছে বুঝে তবেই না বসল গিয়ে পাশের তালগাছটির পাতার ওপরে। ডানা ফুলিয়ে, পালক ঝেড়ে দু’ জনে কী সব কথাবার্তা যেন বলতে লাগল। তার পরে দু জনে গিয়ে নামল ঝিলের কিনারে। বুক সমান জলে নেমে, ডানা ঝাপটে দু' জনে গােসল করতে লাগল। প্রচণ্ড গরম লেগে গেছে ওদের।
এই হচ্ছে ভাত-শালিক। বাংলাদেশের শালিকের ভেতর সে হচ্ছে সবচেয়ে সাহসী। শুধু কাক-বেজি নয়, সাপ, গুইসাপ, বনবিড়াল কিংবা যে কোনাে শিকারি পাখিকেই সে আক্রমণ করতে পারে। বাচ্চা বা ডিমের জন্য সে জীবন বাজি রাখতে পারে বটে, ডিম-বাচ্চার শােক ভুলে যেতেও তার সময় লাগে না। যেমন সাহসী সে, তেমনি সুন্দর গায়ক পাখি। তার চালচলন, ডাকাডাকি, গান শুনে ধারণা করতে কষ্ট হয়, সময়ে সময়ে সে কী রকম সাহসী হয়ে উঠতে পারে। কী সুন্দর হেলেদুলে নাচের ভঙ্গিতে হাটে। মাটিতে পা ঘষটেঘষটে হাটে যখন, তখন অনেক সময় পাটের আঁশ, দলা পাকানাে চুল কিংবা সুতােয় তার দু’পা আপনা-আপনি বাঁধা পড়ে যায়। মাঠে হাঁটার সময়। অসাবধানে তার পা পড়তে পারে মাঝারি শামুকের খােলা মুখের ওপরে। সঙ্গে সঙ্গে শামুক তার মুখের শক্ত খােলা বন্ধ করে দেয়, ব্যস, শালিকের লিকলিকে পা আটকা পড়ে যায়। মুক্তির আর কোনাে উপায়ই থাকে না তার। ভাত-শালিক ছাড়া শামুকের বিপদে পড়তে পারে গােবরে-শালিক বা গােশালিক। সে মূলত মাঠের পাখি, খােলা জায়গার পাখি। তবে সে হাঁটতে হাটতে সুতাে বা পাটের আঁশে নিজের পা বাধায় না কখনাে। এই দু’ প্রজাতির শালিকই বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ঢাকা শহরে এই দু’ প্রজাতি বাদে কাঠশালিকও রয়েছে। বাংলাদেশের শালিকদের ভেতর সম্ভবত সেই সবচেয়ে সুন্দর। তবে সে ভাত-শালিক ও গাে-শালিকের মতাে খােলামেলা। নয় মােটেও। নিজেকে আড়ালে রাখতেই ভালবাসে। সেও ভাল গায়ক পাখি। তবে বাংলাদেশের শালিকদের ভেতর সেরা গায়ক হচ্ছে গাে-শালিক। যদিও তার নামটা যেন একটু কেমন ! কাদা-ময়লায় বেশি চরে, তবু সে কিন্তু খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পাখি। সে-ই একমাত্র বাংলাদেশী শালিক, যে বাসা করে গাছের ডালে, টেলিগ্রাফ বা ইলেকট্রিক থামের তারের ওপর। অর্থাৎ খােলা জায়গায়। ঢাকা শহরে অধিকাংশ মসজিদের উপরের ‘মাইক বক্স’–এ গােবরের বাসা দেখা যেতে পারে। প্রতিদিন ৫ বার আজান হয়। প্রচণ্ড শব্দে ওরা, ওদের বাচ্চারা কীভাবে টেকে? ওদের বাচ্চাদের তাে বধির ও কালা হয়ে যাবার কথা।
এখন দেখা যাক বাংলাদেশে কী কী শালিক আছে ! শালিক হচ্ছে Sturnidae বংশের পাখি। সারা বিশ্ব সাড়ে সতেরাে সেন্টিমিটার থেকে। বত্রিশ সেন্টিমিটার মাপের শালিক রয়েছে। স্বভাব-চরিত্র, বাসা, ডিম-বাচ্চার সংখ্যাসহ সবারই খাদ্যতালিকা মােটামুটি অভিন্ন।
এবারে বাংলাদেশের শালিকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাক। কার কেমন কণ্ঠ, ডাকেই-বা কেমন ? তা ইচ্ছে করলে যে কেউ জানার চেষ্টা করতে পারে।
গােবরে-শালিকই বাংলাদেশের বড় শালিক কিন্তু সে কিছুটা লম্বাটে ধরনের, শরীর ভারি নয়। ভাত-শালিক ও গাঙশালিককে দেখলে বেশ স্বাস্থ্যবান পাখি বলে মনে হয়। কাঠশালিকও হাল্কা গড়নের পাখি। বামন-শালিক বেশ গাট্টাগােট্টা ধরনের, শক্ত গড়নের পাখি।
রঙের যথেষ্ট হেরফের থাকলেও সব ধরনের শালিকের খাদ্যতালিকা মােটামুটি অভিন্ন। সবাই কম-বেশি গােসল করে। সবাই পরিশ্রমী পাখি। সবাই বাসা বাঁধার আগে পছন্দমতাে জায়গা খুঁজে বেড়ায়। গাে-শালিকের বাসা বাধতে সময় লাগে ১০-১৫ দিন। অন্যদের ৫–৭ দিন। সবাই ডিম পাড়ে ৩-৭টি। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সময় লাগে ১৫–২১ দিন। বাচ্চারা উড়তে শেখে ১৯-২৭ দিনে। স্ত্রী-পুরুষ মিলে বাসা বাঁধে, সংসার করে। সবারই ডিমের রঙ নীল হয়। সামান্য হেরফের থাকতে পারে। কাঠশালিক ছাড়া অন্যরা খুব ফুর্তিবাজ পাখি। প্রায় সময়ই ডাকাডাকি কলরব করে। ঝগড়া ঝাটি করে। সব ধরনের শালিকেরাই সামাজিক পাখি দলবদ্ধভাবে চলাচল করতে ভালবাসে। কাঠশালিক, ভাত-শালিক ও গাঙশালিকের রয়েছে অন্যের বাসা দখল করার প্রবণতা। ভাত-শালিক ও কাঠশালিক দখল করে চড়ুই, আবাবিল, কাঠ-ঠোকরা, বসন্তবৌরির বাসা। দখলের সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধও চলে অনেক সময়।
সব ধরনের শালিকই ডিম ও বাচ্চা ফোটায় আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠে। বাসায় ডিম কিংবা বাচ্চা হলে ওরা তা আশেপাশের সব পাখিকে জানাতে চায়। গাে-শালিক বাদে অন্যরা গাছের কোঠরে দর-দালানের ফাঁক-ফোকর কিংবা ভেন্টিলেটরে বাস করে। ঝুলানাে কাঠ বা হার্ডবাের্ড-পিচবাের্ডের বাক্স এবং হাঁড়ি-কলসির ভেতরে বাসা করতে পারে। সবাই বছরে একাধিকবার ডিম-বাচ্চা তােলে। কাঠ-শালিক একই বাসায় পরপর দু'বার বাচ্চা তুলতে। পারে। ঝুঁটি শালিকও তাই করে।
ভাত-শালিক বাড়িঘরের চালে, ছাদে কিংবা উঠোনেও নামে। সুযােগ পেলে রান্নাঘর কিংবা গােলাঘরেও ঢুকে পড়ে। ওরা যেন আমাদের খুব কাছের পাখি, আপন পাখি। ভাত-শালিক ভাতও খায়। সুযােগ পেলে পচা মাছ মাংসও খায়। ওরা পােষ মানে। শেখালে দু'চারটি কথাও বলতে পারে। বাংলাদেশের প্রায় সব শালিকই পােষ মানে। কথা বলতে পারে। প্রায় সবাই ভিন্ন ভিন্ন স্বরে ডাকতে পারে, অন্য পাখির ডাক নকলও করতে পারে। গাে-শালিক আবার ভাত-শালিকের মতাে অতটা কাছের পাখি নয়। একট দূরের। ওরা বাড়িঘরের উঠোনেও নামে না। গাঙশালিক নদী বা খালের পাড়ে চরতে বেশি পছন্দ করে। মাঠ-ঘাটেও চরে। নদী খালের পাড়ের দোয়ালে ওরা গর্ত করে বাসা বাঁধে। সে গর্তের গভীরতা ১২০ সেমি. পর্যন্ত হতে পারে। সুযােগ পেলেই ওরা মাছরাঙা কিংবা সুইচোরাদের গর্ত দখল করতে পারে। ওরা দেয়ালের এমন জায়গায় বাসা করে, যাতে সাপ বা অন্য কোনাে শত্রু সহজে বাসার মুখের কাছে পৌছতে না পারে।
ওদের খাদ্যতালিকায় আছে ধান, চাউল, গম, ফড়িং, ঝিঝি পােকা, ছােট ব্যাঙ, গবাদি পশুর পরজীবী কীটসহ বিভিন্ন ধরনের পােকামাকড়, কেঁচো, জলপােকা, মাকড়সা, উড়ন্ত উইপােকা, বট-অশ্বথের ফলসহ বিভিন্ন রকম ফল, তাল, খেজুরের রস, শিমুল-মাদার ফুলের মধু ইত্যাদি। বাসা বাধার উপকরণ হচ্ছে খড়কুটো, শুকনাে ঘাস, পাটের আঁশসহ বিভিন্ন রকম শুকনাে ঘাস ও লতা। সাপের খােলস, পলিথিন পেলেও বাসায় নিয়ে যায়। গাে-শালিকও সাহসী পাখি। কিন্তু অন্যরা বেশি ভিতু স্বভাবের। তবে সবার ভেতরে শারীরিক কিছু মিল রয়েছে। যেমন, সবারই ডানা খাটো ও গােলাকার, লেজ খাটো ও বিচিত্র, পা শক্তিশালী। শক্ত ঠোট, অনেকটা নলাকার। সবার কণ্ঠ মিষ্টি। প্রয়ােজনে কর্কশ।
ভাত-শালিক (Common Myna) গাঢ় বাদামি এক পাখি। মাথার রঙ কালচে। চোখের চারপাশের পালকহীন জায়গা গাঢ় হলুদ। ডানার ওপরে সাদা বড় ছােপ। ঠোট, পা ও পায়ের পাতা উজ্জ্বল হলুদ। বুক কালাে। লেজের তলার দিক সাদা। ডানা ও লেজের প্রান্ত কালাে-সাদা। উড়লে সাদা পরিষ্কার দেখা যায়। পেটও সাদা। দূর থেকে সে বাদামি কিংবা চকলেট পিঙ্গল। ডিম হয় ৩-৫টি। রঙ নীল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Acridotheres Tristis.
গাে-শালিক (Indian Pied Myna) হচ্ছে সাদা-কালাে এক পাখি ঘাড়, মাথা, পিঠ, লেজ, থুতনি, গলা ও বুকের রঙ কালাে। ঠোট গাঢ় কমলা-হলুদ। লেজ ও লেজের তলা সাদা। কোমরের কাছ থেকে শুরু হয়ে ঘাড়ের তলা হয়ে ডানার ওপর দিয়ে সাদা টান আছে। গলার সমস্ত পালক সাদা। চোখের মণির রং হাল্কা হলুদ। ঠোটের গােড়ার রঙ গাঢ় কমলা। ঠোটের গােড়া থেকেও সাদা একটা টান চোখের ওপর হয়ে ঘাড়ে গিয়ে মিশেছে। ডিম পাড়ে ৪-৬টি। বঙ নীল। গাে-শালিকের বৈজ্ঞানিক নাম Sturnus Contra, ঝুটি শালিকের (১াটের গােড়ায় খাড়া ঝুটি আছে। চোখ লাল। মনে হয় খুব রাগী পাখি। রাগ আছে বটে, সাহস নেই। তার শরীরের রঙ কালচে বাদামি। মাথা কালাে। ঠোটের গােড়া গাঢ় নীল, অগ্রভাগ চকচকে হলুদ। পা কমলা-হলুদ। চোখের চারপাশের রঙ হাল্কা লাল। দেহের ওপরের পালক ধূসর। পালকের শেষ প্রান্তে সাদার আভা। পেট ধূসর পাটকিলে। লেজের তলা সাদা। চোখের মণি গাঢ় হলুদ। ডিম হয় ২–৫টি। রং হালকা নীল। ঢাকায় প্রচুর ঝুঁটি-শালিক আছে।
গাঙশালিক বেশ নাদুস-নুদুস পাখি। মাথা কালাে। ডানা কালাে। পাখা বুজানাে অবস্থায় সাদা জরিদার চমৎকার একটা ছােপ দেখা যায়। তাতে থাকে সবুজের আভা। বুক ধূসর। তলপেট ফিকে জরদ। ঠোট হলুদ। ডিম হয় ৩৬টি। রং আকাশি নীল।ইংরেজি নাম Bank Myna. বৈজ্ঞানিক নাম Acridotheres ginginianus. কাঠশালিক সব মিলে লালচে আর মরিচা রঙের এক সুন্দর পাখি। গলা ও গালের দু'পাশ ফিকে লাল। পিঠ উজ্জ্বল বাদামি ধূসর। বুক গাঢ় লালচে বাদামি। ডিম হয় ৩–৫টি। রঙ ফিকে নীল। ইংরেজি নাম Greyheaded Myna. বৈজ্ঞানিক নাম S. Malabaricus.
বামন-শালিক কালাে মাথার পাখি। মাথায় যেন আঁকড়া চুল। ঠোটের গােড়া নীল। মাঝখানটা সবুজ। ডগা হলুদ। পা উজ্জ্বল হলুদ। বুক জরদ রঙা। ডিম হয় ৩-৫টি। রঙ নীল। সংখ্যায় এরা কম। সাভারে দেখা যেতে পারে। ইংরেজি নাম Brahminy Myna.বৈজ্ঞানিক নাম S. Pagodarum.
সবাই ভাল গায়ক। ওরা উপকারী পাখি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ওরা অপরিসীম অবদান রাখে। সুন্দরবনে বেশ ক’ প্রজাতি দেখা যায়। ভাতশালিক ও গাঙশালিকসহ বেশ ক’ প্রজাতি আজ শিকারিদের টার্গেট। এর বিরুদ্ধে সােচ্চার হওয়া জরুরি। না হলে শালিকের জাতভাই ময়নার মতাে শালিকেরাও একদিন বিলুপ্তপ্রায় পাখিতে পরিণত হবে।