বাংলাদেশের পাখি : কুড়া বাজ

বাংলাদেশের বড় এই শিকারি পাখিটির নাম কুড়াবাজ। ইংরেজি নাম। Ring Tailed or Pallas's Fish eagle. বৈজ্ঞানিক নাম 'Haliaeetus lecorypt us. শরীরের মাপ ৮৭ সেন্টিমিটার। ওজন ৪ কেজিরও বেশি।



রাতভর বৃষ্টি হল মুষলধারায় । আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি। মাঠ-ঘাটে জমে গেল বৃষ্টির জল। ওরকমই একটা জলজমা মাঠে সােনাব্যাঙদের তানপুরার আসর জমতে দেখে জনকয়েক বালক-বালিকা জলকাদা ভেঙে ছুটল সােনাব্যাঙ ধরতে। কী সুন্দর হলুদ-সােনালি রঙ ওদের! গলার দু'পাশের বেলুনটা একবার ফুলছে, পরক্ষণেই চুপসে যাচ্ছে। আবারাে ফুলছে। ওদের তানপুরা কনসার্টে মাতােয়ারা পাড়া।

ছুটোছুটি-হুড়ােহুড়ি করে প্রথম যে বালক একটি ব্যাঙ ধরল, উল্লাসে চিৎকার দিয়ে সে ব্যাঙটি ছুড়ে দিল আকাশের দিকে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠের কিনারার রাজশিরীষের ডাল থেকে পাখা মেলে বিদ্যুৎ বেগে বিশাল শিকারি পাখিটি ধেয়ে এল ব্যাঙটিকে ধরতে। অল্পের জন্য ফসকালাে। মাটি থেকে মাত্র দু'ফিট ওপরে নেমে এসেছিল পাখিটি, বােমারু বিমানের মতাে ওপরে উঠে শূন্যে পাক খেল আচমকা, তারপর ফিরে গেল রাজশিরীষের ডালে। পাখিটির বিশাল ডানার বাতাসে উড়ল বােধ হয় বালক-বালিকাদের চুল, থেমে গেল ব্যাঙদের ডাক । ভয় পেয়ে ওরা লুকাতে চাইছে জলকাদার তলায়।

বালক-বালিকারা ওই বিশাল শিকারি পাখিটিকে চেনে। জানে খাদ্য তালিকা, ওর শিকারের কৌশলও দেখেছে সবাই। শুনেছে বিষন্ন কষ্ঠের জোরালাে ডাক। ওই ভয়াবহ ডাক শুনলে বা ওদের ডানার ছায়া দেখলেও হাঁস-মুরগিদের অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে, বুক যায় শুকিয়ে। হাঁসেরা চেঁচাতে থাকে তারস্বরে। মােরগের গলা ফাটাতে থাকে। আশপাশের সব নিরীহ পাখিরা তাে বটেই, মানুষও জেনে যায় শিকারি পাখিটির আগমনবার্তা। এই বালক-বালিকারা বন্দুকের গুলিতে মরতেও দেখেছে এই পাখিটিকে। এই মুহূর্তে তাই ওদের মগজে একটা নতুন খেলার আইডিয়া ঢুকে পড়ল ।

নির্বিষ জলসাপের লেজ ধরে ঘুরিয়ে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে যেভাবে ওরা শঙ্খচিলভূবনচিলদের ছোঁ মারা দেখে, ব্যাঙ ছুড়ে দিয়ে ওরা সেরকমই একটা খেলা তৈরি করতে চাইল শিকারি ওই পাখিটির সঙ্গে। এক বালিকাই প্রথমে ধরল একটি ব্যাঙ, পেছনের ঠ্যাঙ ধরে ফিরল পাখিটির দিকে, তারপর জোরসে ছুড়ে দিল শূন্যে। পাখিটি টান টান গলায় প্রস্তুতই ছিল, অসম্ভব ক্ষীপ্রগতিতে ধেয়ে এল আর পড়ন্ত শিকারের কাছে এসেই কী অপরূপ ভঙ্গিমায় চিৎ হয়ে গেল! দু'পায়ের নখরের ভেতরে যেন ক্রিকেটের ‘ক্যাচ লুফে নিল, তারপর চলল ওই রাজশিরীষটার দিকেই। উল্লসিত বালক-বালিকারা তখন গলা ফাটাচ্ছে। কেননা, রাজশিরীষের ডাল থেকে তখন ব্যাঙটির কো-আ-কো” ধরনের ডাক ভেসে আসছে।

আরেকটি ব্যাঙ ধরার জন্য যখন লুটোপুটি লাগিয়েছে বালক-বালিকারা, দ্বিতীয় পাখিটিকে তখন দেখতে পেল ওরা। পেছনে পেছনে উড়ছে দু'টি বাচ্চা। গত চৈত্রে এরা উড়তে শিখেছিল, মা-বাবাকে ছেড়ে যাবার বয়স ওদের হয় নি। আর ওরা এসেছে পশ্চিম দিকের বিলটার দিক থেকে। বাচ্চা দু'টি বাবাকে যেই না দেখল, বুঝল বাবা শিকার খাচ্ছে—অমনি আহ্লাদী ডাক ছেড়ে, ডানা মুড়ে সাঁ সাঁ বেগে উড়ে গিয়ে বসল বাবার দু'পাশে। ওদের দু'জনের মুখে ব্যাঙটাকে দিয়ে বাবা তাকিয়ে রইল আবার মাঠের দিকে, চোখে জ্বলছে শিকারের লােভ।

এ সময় দ্বিতীয় ব্যাঙটি শুন্যে ছােড়া হল, একই সঙ্গে আকাশের মাপাখিটি ও বাবা-পাখিটি তীরবেগে ধেয়ে এল শিকারের দিকে। মায়ের ডান পায়ের নখে শিকার গাঁথল বটে কিন্তু জীবন্ত ব্যাঙটি যেই না মুক্তি পাবার চেষ্টা করল অমনি নখ থেকে খসে পড়ল সে। বাঁ পা বাড়িয়ে শিকার কজা করতে গেল বটে মা, বিশাল ডানার বাতাসে টার্গেট গেল নড়ে। দ্রুতবেগে। ব্যাঙটি তখন পড়ছে নিচের দিকে। উল্লসিত বালক-বালিকারা ক্যাচ ধরার জন্য বাড়িয়েছে হাত। কিন্তু ওদেরকে বিস্মিত করে বাবা পাখিটি ৭০ ডিগ্রি। অনুভূমিক অ্যাঙ্গেলে তীরের ফলার মতাে নেমে এসেই নখরে গাঁথল শিকার, সা করে পাক খেয়ে ছিটকে উঠে পড়ল শূন্যে। চলল রাজশিরীষটির দিকে। পায়ের তলায় নরম কাদা না থাকলে লাফ দিয়ে বােধ হয় পাখিটির ডানা বা পা ধরে ফেলতে পারত বালক-বালিকারা।


মেয়ে পাখিটি তখন ধীর লয়ে উড়তে শুরু করল মাঠের মাথায়। কীরে কী হল, কী-রে, দিবি নাকি আরাে ধরনের ডাক ছাড়ল বার কয়েক । বালক-বালিকারা ব্যাঙ ছুড়ছিল। শিকারের পাশে নেমে এসে বিশাল দু'ডানার বাতাসে ব্যাঙটিকে ব্যালান্স করে নিল প্রথমে তারপর নখরে গেঁথে নিয়ে চলল ওই রাজশিরীষ গাছটার দিকেই।

সেদিন ওরা মােট ৭টি সােনাব্যাঙ ছুড়েছিল শূন্যে, ৭টিকেই আশ্চর্য কুশলতায় নখরে গেঁথেছিল মা ও বাবা পাখি । বাচ্চা দুটি শূন্য থেকে শিকার নখরে গাঁথার কসরত করেছিল বটে, একবারও সফল হয় নি। তবে মাবাবার শিকার কৌশল ওরা উড়তে উড়তে লক্ষ করেছিল ভালােভাবে। এই নজরদারি ওদেরকে একদিন দক্ষ শিকারি করে তুলবে।

এই যে শিকারি পাখিটির কথা আমি বললাম এতক্ষণ, বাংলাদেশের শিকারি পাখিদের ভেতর সে অন্যতম সেরা । আকারে-ওজনেও সে সেরা। শরীরের মাপেও সে সবচেয়ে বড়। এই গোত্রের পাখিদের বৈশিষ্ট্য হল, মেয়েপাখিরা পুরুষ পাখির চেয়ে আকারে বড় হয়ে থাকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। এই পাখিটির ক্ষেত্রে মেয়েটিই আকার-এজনে বড়। সাহসও বেশি তার। দেখতে তাকে সুন্দরই বলতে হবে, তবে চাহনি আর বাঁকানাে ঠোটকে বলতে হবে ভয়ঙ্কর-সুন্দর।

তার চেয়েও বেশি সুন্দর তার ডাইভের ভঙ্গি ও জেট বিমানের কৌশলে শূন্যে ওঠা-নামা করার কৌশল ও পাক খাওয়ার দৃশ্য। বাল্য-কৈশােরে আমি ওকে শিকার করেছি হাঁস-মুরগির বাচ্চা খাওয়ার আর পুকুর-দিঘি থেকে মাছ তুলে নেবার অপরাধে (এখন বুঝি ওদের কোনাে অপরাধ ছিল না, অপরাধী ছিলাম আমি)। অসুস্থ ছােট ছাগলছানা-কুকুরছানা তুলে নেবার জন্য আমি বহুবার আকাশে ওদের পাক খাওয়ার কৌশল দেখেছি। সাগর ঈগল, খােপাবাজ, কালো ডানার চিল, শঙ্খচিল ও ভুবন চিলেদের কাছ থেকে শিকার হাইজ্যাক করতেও দেখেছি। নাছােড়বান্দা ওৱা।

কাউকে টার্গেট করলে হাইজ্যাক না করা পর্যন্ত ছাড়ে না। প্রয়োজনে দু'-পাঁচ কিলােমিটার পাড়ি দিতেও রাজি আছে। বাসায় ডিম অথবা কম বয়সী বাচ্চা না থাকলে হাইজ্যাকের সময় এক জোড়া পাখিতেই কৌশলে হাইজ্যাকের কাজটা সারে। এই ওপরে ওঠে, এই নামে নিচে, ঘুরপাক খায়, তারপর নখর থেকে শিকার দেয় খসিয়ে। হাইজ্যাকাররা তখন নিচের দিকে ডাইভ মেরে পড়ন্ত শিকার ধরে যে কৌশলে, তা না দেখলে বিশ্বাস করাও কঠিন। সাগর ঈগল বা অন্য কোনাে বড় বাজ-ঈগল হলে রুখে দাঁড়ায়, ঠোট চালায়, ডানার আঘাত দিতে চায়।

শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠে না। তার কারণ, নখরে শিকার গাথা থাকায় সে তার সেরা অস্ত্র নখর বাড়াতে পারে না। আমি ছােট ছিট-ঈগলকে দেখেছি শিকার হাইজ্যাক হবার পর আক্রমণ করেছে এই শিকারি পাখিদের, লড়েছে শূন্যে। ছােট ছিট-ঈগলও বেশ বড়সড় শিকারি পাখি। সে বাংলাদেশের আবাসিক পাখি নয়। এই ঢাকা শহরেই ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই ঈগল ছেড়ে দিয়ে পুষেছিল এক পাখিপ্রেমিক তরুণ। ওই ঈগলটির ছবি আমি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে তুলেছি। ওকে খেতে দেওয়া হতাে মরা মুরগি। যে শিকারি পাখিটির কথা আজ বলছি আমি, বাচ্চা অবস্থায় ধরে পােষ মানানাের চেষ্টা করলে পােষ সে মানে। তবে, যখন সে বড় হয়, সময় হয় বাসা বাঁধার, তখন সে চলে যায় সঙ্গীর খোজে। আর ফেরে না। পােষা অবস্থায় এরা ছেড়ে দেওয়া থাকলে বাড়ির মােরগ-মুরগি, ছাগল-কুকুরদের কাছে ভিড়তে দেয় না।

মাংসের চেয়ে মাছই বেশি পছন্দ করে। কাঁকড়াও সহজে খায়। তবে সুযোগ পেলে প্রভুর হাতেও এরা নখর চালায়, ঠোট চালায়। অত্যন্ত বুদ্ধিমান আর চতুর এই পাখি । শিকার করতে গিয়ে ওদেরকে 'আমি হাড়ে হাড়ে চিনেছি। একবার গুলিখাওয়া একটি হটটিটি পাখি যখন খাড়া উঠে যাচ্ছিল শূন্যে তখন এই শিকারি পাখিটি ধেয়ে এসে গেঁথেছিল নখরে। আর শিকার হারানাের দুঃখে গুলি করে শূন্য থেকে ওকেও পেড়ে ফেলা হয়েছিল। মূলত এরা হাওর-বাওড়ের পাখি।

তুখােড় শিকারি এই পাখিটির পরিচয় দেবার আগে অতি সংক্ষেপে ওদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরছি।


ক) শিকারের সন্ধানে ওরা কখনাে কখনাে শকুনের মতাে আকাশে পাক খায় । ঘাপটি মেরে থাকতেও ওস্তাদ।

খ) এক জোড়া পাখিতে পরিকল্পিতভাবে শিকার করতে জানে।

গ) সাধ্যে কুলাবে না এ রকম শিকার ওরা নখরে গাঁখে না। শিকারের শরীরে বসানাে নখর খুলতে পারে না সহজে।

ঘ) সাধ্যে কুলােবে, এ রকম রুগ্‌ণ হাঁস-মুরগি, ছাগলছানা তুলে নিয়ে যায়। অসুস্থ হলেই কীভাবে যেন টের পায় ওরা!

ঙ) যে জলাশয় বা বিল-ঝিল, হাওর-বাওড়-মােহনা ৰা নদীতীরের গাছে বসে মাছ বা অন্য শিকারের অপেক্ষা করে, সে এলাকায় নজরদারির সীমানাটুকুকে ওরা বাপ-দাদার তালুক মনে করে। অন্য কোনাে মাছ শিকারি পাখি এলেই ডাক ছেড়ে ধমক-ধামক মারে। প্রয়ােজনে উড়ে গিয়ে ধাওয়া করে, শিকার এলাকা নির্বিঘ্ন রাখতে চায়।

চ) স্বজাতির (একই প্রজাতি) শিকার ওরা হাইজ্যাক করে না। বাংলাদেশের বড় এই শিকারি পাখিটির নাম কুড়াবাজ । বাগেরহাট, খুলনা, গােপালগঞ্জে বলা হয় বাজকুড়াল'। কী জানি, শিকারের ওপর নখর বসায় কুড়ালের কোপের মতাে, সেজন্য এই নাম কিনা! ইংরেজি নাম Ringtailed or Pallas's Fish eagle. Casa at Haliacetus leucoryphus, শরীরের মাপ ৮৭ সেন্টিমিটার। ওজন ৪ কেজিরও বেশি।

আজ থেকে বছর তিরিশেক আগেও এদেরকে দেশের পুকুর-দিঘি, হাওর-বাওড়, বিল-ঝিলে যথেষ্ট দেখা যেত। শােনা যেত ডাক ক্রেউ-ই ক্রি.ই..ই..ইক...ক্রেউ...। কিন্তু এখন খুব কম দেখা যায়। কম দেখা মানে কিন্তু কমে যাওয়া নয়। সরে গেছে ওরা অনিবার্য কারণে।

দেশে বাসা বাঁধার গাছের অভাব ওদের নেই। নিরাপত্তার অভাব। অভাব খাবারের। অবাধ প্রাকৃতিক শিকার আজ আর সহজে মেলে না। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিল-ঝিলগুলোসহ দেশের নানা প্রান্তে বহু বছর যাবৎ চিংড়ির ঘের হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক মাছ সেখানে নেই। পুকুর-দিঘিতেও চলে মাছ চাষ। তারপর ছােটখাটো মাছ মারা যায় বিষাক্ত কীটনাশকের কবলে পড়ে।

খাবার পেলে কেউ কি থাকে। এদের খাদ্যতালিকায় প্রথমেই পড়ে রুই, কাতলা, শােল, বােয়াল, টাকি ইত্যাদি মাছ। দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় আছে হাঁস-মুরগির বাচ্চাসহ যে কোনাে পাখির ডিম-বাচ্চা। প্রথম পছন্দের শিকার না মিললে মরিয়া হয়ে এরা এই কাজ করে-শিকার করে ছােট ছােট জলচর পাখিও। গুলিতে বা অন্য কোনাে ফাদে পড়া পাখিকে তুলে নিতেও ওস্তাদ।

নিনি বাড়ি থেকে খাঁচাবন্দি ডাহুক-ঘুঘুকে খাঁচা ভেঙে নিয়ে যাবার রেকর্ডও রয়েছে। এরা বাসা করে উচু গাছের ডালে। দু'জনে মিলেই পরিকল্পনা করে। গাছের শুকনাে ডাল হচ্ছে এদের বাসার উপকরণ। বড়সড় বাসা। ঈগলবাজের মতাে এরাও বছরের পর বছর একই বাসায় ডিম-বাচ্চা তােলে। প্রতিবারই নতুন কিছু উপকরণ আনে।

এদের ডিম হয় ২/৩ টি। খড়িমাটির মতাে সাদা। দু'জনে পালা করে ডিমে তা দেয়। বাচ্চা ফোটে ৩০/৩৫ দিনে। বাচ্চারা উড়তে শেখে ৫৫/৬০ দিন পর। তারপরেও প্রায় ৬ মাস থাকে বাবা-মা'র সঙ্গে। ডিম পাড়ার পর থেকে বাচ্চারা বড় না-হওয়া পর্যন্ত দু'টি পাখি একত্রে শিকারে যায় না। একজন পাহারায় থাকে। বাচ্চাদের খিদের কান্নাটা হয় চাপা সুরের। ভদ্র থেকে চৈত্র মাসের ভেতর ডিম পাড়ে ও বাচ্চা তােলে।

একনজরে কুড়োবাজের রঙ বাদামি আর কালচের মিশেল। লেজের রঙ মূল পালকের প্রায় ৩ ইঞ্চি জায়গা সাদা। নখর কালাে। ঠোট কালচেবাদামি। হলুদাভ চোখের মণি। বসা অবস্থায় লেজকে চমৎকার করে ছাঁটা হয়েছে বলে মনে হয়। বড় বড় শিকারি পাখিদের বাংলাদেশে এখন কম দেখা যাচ্ছে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url